Juri

0 reviews
0.0

Rating Breakdown

0%
0%
0%
0%
0%

Juri Reviews and Rating

Filter By
About Juri

দু‘টি পাতা একটি কুড়ির দেশ এবং ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ নিমাত্রা(রহঃ), হযরতশাহখাকী(রহঃ), হযরত শাহ্কোয়াছিম উদ্দীন জীবন জ্যোতি(রহঃ) এর স্মৃতিবিজড়িত পূণ্যভূমি জুড়ী এলাকা।বিগত ২৬ আগষ্ট ২০০৪ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি(নিকা)র ৯০তম বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ০৪টি (জায়ফরনগর, গোয়ালবাড়ী, সাগরনাল, ফুলতলা) এবং বড়লেখা উপজেলার ০৪টি( পূর্বজুড়ী, পশ্চিমজুড়ী, দক্ষিণভাগ, সুজানগর) এই ০৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে একটি  ঐতিহাসিক ঘোষনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ৪৭১তম প্রশাসনিক উপজেলা হিসেবে জুড়ীর আত্নপ্রকাশ।

এছাড়া ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে জুড়ীর রয়েছে গৌরবজ্জ্বল অতীত ইতিহাস। জুড়ী কামিনীগঞ্জ বাজার.ভবানীগঞ্জ বাজার,ফুলতলা বাজারসহ আর ওঅনেক হাটবাজার এ জেলার রাজস্ব খাতকে করেছে সমৃদ্ধ।

জুড়ীর নামকরণ নিয়ে অতীত ইতিহাস খুঁজলে সঠিক কোন তথ্য না পওয়া গেলেও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তথ্যটি হলো,ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কোনপাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা ছোট একটি স্রোত ধারা বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিকে চলে এসেছে।এস্রোত ধারাটির যাত্রাপথ ফুলতলা, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী, পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বক্ষ বেয়ে জায়ফরনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে হাকালুকি হাওর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।এ স্রোত ধারাটি সুচনার দিকে জুড়ী নদী নামে পরিচিত ছিল যাবাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং একই নামে প্রবাহিত হয়েছে।এই জলধারা বা জুড়ী নদীর কোল ঘেষে অজানা অতীত থেকে মানুষ বসবাস করতে শুরু করে, গড়ে উঠে লোকালয়, জনপথ। আর ঐ জুড়ী নদীর কিনারায় গড়ে উঠা বৃহত্তর জনপদকেই জুড়ী অঞ্চল বলে চিহ্নিত করাহয়।

জুড়ী নদীর তীরে গড়ে ওঠা জনপদের বিস্তৃর্ণ এলাকা নিয়ে জুড়ী অঞ্চল হলেও মূলজুড়ীর কেন্দ্রটি গড়ে ওঠেছে জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের সংযোগস্থল। এখানেই ব্যবসা বাণিজ্যের মূলকেন্দ্র হিসেবে জুড়ী শহর রুপে লাভ করে। জুড়ী শহরটি আবার দুই ভাগে বিভক্ত।জুড়ী নদীর পশ্চিমাঞ্চল যা জায়ফরনগর ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত তা কামিনীগঞ্জ নামে পরিচিত এবং জুড়ী নদীর পূর্বাঞ্চল যা পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত তা ভবানীগঞ্জ বাজার নামে পরিচিত।

জুড়ী বাজারের গোড়াপত্তনের অতীত প্রেক্ষাপট খুজে জানা যায় এদেশে যখন ইংরেজ শাসনামল ছিল, ছিল জমিদারী প্রথা ও নবাবী আমল সেসময়কালে ইংরেজদের আর্শীবাদপুষ্ট ঐ নবাব জমিদাররা কৃষকের জমির খাজনা আদায় করতেন।এক একটি বিশাল এলাকা এক একটি পরগণায় বিভক্ত ছিল।পরগণা গুলোর অধির্শর থাকতেন ঐ নবাব জমিদারগণ।

জুড়ী নদীর পূর্বাঞ্চল ছিল  পাথারিয়া পরগণা।ঐ পরগণার জমিদার রাজা রামমোহন রায়ের নিকট আত্নীয় জনৈক ভবানী কুমার রায় খাজনা আদায়ের জন্য যেখানে বসতেন সেটাই প্রথমে বাবুর বাজার পরে ভবানী বাবুর নামানুসারে ভবানীগঞ্জ বাজার হয়ে যায়।

জুড়ী নদীর পশ্চিমাংশ ছিল লংলা পৃথিম পাশার পরগণার অন্তর্ভুক্ত।ঐ পরগণার নবাব আলী আমজদ খানের নির্বাচিত জনৈক কামিনী বাবু যেখানে বসে খাজনা আদায় করতেন সেঠাই কামিনী বাবুর নামানুসারে কামিনীগঞ্জ বাজার হয়ে যায়।

দুই পরগণার জনগণ খাজনা প্রদানের জন্য জুড়ী নদীর দুই পার্শ্বে সমবেত হতেন।সেই লোক সমাগমের কারনেই ধীরে ধীরে দোকান পাঠ বসে এবং কালের পরিক্রমায় ব্যাপক প্রসার লাভ করে সেই খন্ড খন্ড বাজারগুলিই জুড়ী বাজার বা জুড়ী শহর রূপে  আবির্ভূত হয়।

Read More... Show Less

Get the best experience with Kemon app!

Header Text 09:49 AM
Hello, world! This is a toast message.